শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (বাঁ দিকে)। বিএমসি ওয়ার্ড অফিসে মারধরের দৃশ্য (ডান দিকে)। — ফাইল ছবি।
‘বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’ (বিএমসি)-এর বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অভিযান চলাকালীন পুরকর্মীদের কাজে বাধা এবং মারধরের অভিযোগ। অনিল পরব-সহ ২৫ জন উদ্ধব গোষ্ঠীর শিবসেনা নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় চার শিবসেনা কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউতের দাবি, তাঁরা জেলে যেতে তৈরি। এ ভাবে জেলের ভয় দেখিয়ে বালাসাহেবের ছেলেদের ভয় পাওয়ানো যায় না বলেও হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি।
বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, গত ২২ জুন পূর্ব বান্দ্রা এলাকার নির্মল নগরে একটি শাখা অফিস ভাঙতে যায় বিএমসি। অনিল পরব এবং শিবসৈনিকদের দাবি, শাখা কার্যালয়ে বালাসাহেব ঠাকরের একটি ছবি ঝোলানো ছিল। তাঁরা বিএমসি কর্মীদের অনুরোধ করেছিলেন, ওই ছবিটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর যেন ভাঙচুর চালানো হয়। অনিলের অভিযোগ, সেই অনুরোধ রাখেনি বিএমসি। বালাসাহেবের ছবি-সহ ভেঙে ফেলা হয় অফিসটি। যা আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। অভিযোগ, অনিলের নেতৃত্বে শিবসৈনিকেরা বিএমসি কর্মী এবং আধিকারিকদের বেধড়ক মারধর করেন। বিএমসির একটি ওয়ার্ড অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও সেনার কোনও শাখা অফিসে হাত পড়েনি বলে বিএমসি থেকে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনার পরেই চার শিবসেনিককে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে অনিল-সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে। বিএমসির দাবি, মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তা আটকে তৈরি কিছু কাঠামো ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছিল। তাতে ট্রাফিক চলাচলেও সমস্যা হচ্ছিল বলে দাবি। যদিও সেই তালিকায় নির্মল নগরের শাখা অফিস ছিল না বলে দাবি বিএমসির। ওই শাখা অফিসের ধারেকাছে যাওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছে পুরসভা।