অমরেন্দ্র সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের ভোটে নতুন জোটের ঘোষণা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। জানালেন, বিজেপি ও সুখদেব ধিংসার দলের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়বে তাঁর নিজের তৈরি করা রাজনৈতিক দল।
কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসার একমাস পরে, চণ্ডীগড়ে আজ নিজের দলের দফতরের উদ্বোধন করেছেন অমরেন্দ্র। জানিয়েছেন, নতুন জোটের বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিস্তারিত ঘোষণা করতে চলেছেন তাঁরা। তবে জোট শরিকেরা কে কতগুলি আসনে লড়বে, তা নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দিতে চাননি পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নতুন জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনিই হবেন কি না। অমরেন্দ্রের জবাব, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা জোট শরিকেরা মিলে ঠিক করবে।’’ অমরেন্দ্রের যুক্তি, ভোটের আগে এ সব নিয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ক্ষতি নেই। কারণ, ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে যখন তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস, তখন ভোটের মাত্র ১৪ দিন বাকি। কিন্তু সে বার এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন তিনি।
আসন রফা নিয়ে আলোচনা করতে শীঘ্রই বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন অমরেন্দ্র। নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণার আগেই অবশ্য বিজেপির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে ভবিষ্যতে আসন রফার জন্য তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের শর্তও দিয়েছিলেন। এর পরেই বিতর্কিত কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের বিষয়ে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমেরন্দ্র আজ বলেন, ‘‘কৃষক নেতাদের আমি বলেছি, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। কৃষকদের তোলা অন্য দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করতে কমিটির ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) জন্য কমিটি হবে বলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর সংসদে জানিয়েছেন। ফলে এখন এই কমিটির কাজের উপর কৃষকদের আস্থা রাখা উচিত।’’
এ দিকে, পঞ্জাবের ভোট এগিয়ে আসায় কংগ্রেসও দেরি না করে আজই কয়েকটি কমিটির গঠন করেছে।
অম্বিকা সোনির নেতৃত্বে নির্বাচন সমন্বয় কমিটি, সুনীল জাখরের নেতৃত্বে প্রচার কমিটি, প্রতাপ সিংহ বাজওয়ার নেতৃত্বে ইস্তাহার কমিটি আর অজয় মাকেনের নেতৃত্বে প্রার্থী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা