Amrinder Singh

Amarinder Singh: সমঝোতার দাবি ক্যাপ্টেনের

অমরেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল তৈরির ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, কৃষক আন্দোলন মিটলে তিনি বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৫৭
Share:

পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তরপ্রদেশ-পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগে মোদী সরকার কৃষক আন্দোলনে ইতি টানার চেষ্টা করছে বলে ইঙ্গিত মিলছিল। আজ পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ দাবি করলেন, কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে শীঘ্রই কিছু একটা সমঝোতা হতে চলেছে। কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতারা অবশ্য আলোচনা বা সমঝোতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশ কৃষকদের আটকাতে গাজিপুর, টিকরি সীমানায় যে কংক্রিটের দেওয়াল, লোহার ব্যারিকেড তৈরি করেছিল, তা সরিয়ে নিয়েছে। তবে সিংঘু সীমানায় ব্যারিকেড এখনও বহাল। এ বার কৃষকেরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে দীপাবলির পরে ৯ নভেম্বর বৈঠকে বসবেন। আজ ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। তার পরে কৃষকেরা ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লির সীমানায় পৌঁছে পুরো দিল্লি অবরুদ্ধ করে দেবে। ২৬ নভেম্বরই দিল্লির সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন এক বছরে পড়তে চলেছে।

Advertisement

অমরেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল তৈরির ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, কৃষক আন্দোলন মিটলে তিনি বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাবেন। আজ তাঁর দাবি, “আমি যতটুকু জানি, দু’পক্ষই আগের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিছু একটা সমাধানে পৌঁছোনো গিয়েছে। দু’পক্ষ থেকেই গঠনমূলক মনোভাব দেখা গিয়েছে। সবাই চায় আন্দোলন মিটে যাক। কৃষকরাও নিজের জমিতে ফিরতে চান।” কিন্তু সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লার দাবি, সরকারের সঙ্গে চুপিচুপি কোনও আলোচনা হয়নি। টিকায়েতের হুঁশিয়ারি, পুলিশ এনে কৃষকদের জোর করে সরানো হলে সমস্ত সরকারি দফতরে ফসলের মান্ডি খোলা হবে। থানায়, জেলাশাসকের দফতরে চাষিরা গিয়ে তাঁবু খাটিয়ে ধর্নায় বসবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement