প্রতীকী ছবি।
ভোরে আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় দিনভর মাথাব্যথার শিকার হন তিনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নানা কাজ ঠিক ভাবে করতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রয়াগরাজের জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামীর কাছে চিঠি লিখে ‘প্রতিকার’ চেয়েছেন তিনি।
ইলাহাবাদের সিভিল লাইনসের সংশ্লিষ্ট মসজিদের কাছেই উপাচার্যের বাসভবন। ওই মসজিদে দীর্ঘ দিন ধরেই মাইকে আজান হয়। কিন্তু এর আগে কখনও কোনও উপাচার্য ঘুমের ব্যাঘাতের অভিযোগ করেননি। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। লখনউয়ের একাধিক সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংগঠন বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ৩ মার্চ জেলাশাসককে লেখা চিঠিতে সঙ্গীতা লিখেছেন, ‘প্রতিদিন ভোট সাড়ে ৫টায় মাইকে আজানের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম আসে না। ফলে দিনভর মাথাব্যথার শিকার হই। কাজেরও ক্ষতি হয়’।
চিঠিতে তাঁর দাবি, ‘প্রবাদ আছে, আমার নাক যেখানে শুরু, তোমার স্বাধীনতা সেখানেই শেষ। আমি কোনও ধর্ম, বর্ণ বা জাতির বিরোধী নই। অন্যকে বিরক্ত না করে মাইক ছাড়াই আজান সম্ভব’। রমজানের সময় ভোর ৪টে থেকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী প্রচণ্ড অসুবিধার মুখে পড়েন বলেও অভিযোগ উপাচার্যের। চিঠির কপি প্রয়াগরাজের ডিভিশনাল কমিশনারের কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রয়াগরাজের ডিআইজি কবীন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বুধবার উপচার্যের চিঠি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট ডেসিবল মাত্রার মধ্যে আজান করার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।’’ তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মাইক-সহ সমস্ত রকম ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম’ ব্যবহার নিষিদ্ধ। সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ পালনে পুলিশ সচেষ্ট হবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত কয়েক বছর আগে বলিউডের গায়ক সোনু নিগম মাইকে আজানের শব্দে তাঁর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।