গুরমেহের কউর। —ফাইল চিত্র।
আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে! টুইট করে জানিয়ে দিলেন কার্গিল শহিদ-কন্যা গুরমেহের কউর। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপি-র ‘গুন্ডারাজে’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলেও যোগ দিতে চান না তিনি। তাঁর টুইটেই বিজেপি-র ওই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জোয়ার এসেছিল। সেই গুরমেহেরই মঙ্গলবার টুইট করে বলেন, ‘আমার যা বলার ছিল তা বলে দিয়েছি। আর নিতে পারছি না!’ তবে এর পরেও প্রতিবাদীদের পাশেই রয়েছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল ডেকেছিলেন অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের একাংশ। সেই মিছিলে তিনি থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন গুরমেহের। তিনি বলেন, “যাঁরা আমার সাহসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের বলি, আমি যথেষ্ট সাহস দেখিয়েছি!” যদিও প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই প্রতিবাদ মিছিল আমাকে নিয়ে নয়, পড়ুয়াদের নিয়ে। দলে দলে মিছিলে যোগ দিন।” পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, সাম্প্রতিক কালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মিছিলে এত জমায়েত হয়নি।
আরও পড়ুন
শহিদ-কন্যাকে খোঁচা সহবাগের, তীব্র বিতর্ক
দিল্লির রামজস কলেজে জেএনএউ-এর ছাত্রনেতা উমর খালিদের অনুষ্ঠান বাতিলের পর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। কলেজ চত্বরে বামপন্থী ছাত্রদের উপরে হামলায় অভিযোগ ওঠে এবিভিপি-র ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এর পর গুরমেহের একটি প্ল্যাকার্ডে লিখে জানান, “আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। আমি এবিভিপি-কে ভয় করি না। আমি একা নই। ভারতের সমস্ত পড়ুয়া আমার সঙ্গে আছেন।” ওই প্ল্যাকার্ডের ছবি-সহ টুইট করামাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয় গুরমেহেরকে। এর পর তাঁকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার থেকে তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
এবিভিপি-র বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী পোস্ট করার পাশাপাশি আরও একটি টুইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কার্গিলের যুদ্ধে নিহত ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহের মেয়ে গুরমেহের টুইট করেন, “আমার বাবাকে পাকিস্তান মারেনি, মেরেছে যুদ্ধ।” সেই টুইটের পর গুরমেহেরের সমর্থন ও বিরোধিতায় মুখ খোলেন অনেকে। বিরোধিতা করেন বীরেন্দ্র সহবাগ ও রণদীপ হুডার মতো সেলিব্রিটিরা। কটাক্ষ করে বীরেন্দ্র সহবাগ টুইট করেন, “আমি নয়, আমার ব্যাট দু’টি তিনশো করেছে।”
আরও পড়ুন
বাবা-ভাইকে ধর্ষক হয়ে উঠতে প্ররোচিত করেন নারীরাই, বিতর্কে যাজক
একই ভাবে গুরমেহেরের তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নাইডু ও কিরেণ রিজিজু। যদিও গুরমেহেরের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। রাজ্যপালের কাছে তাঁর হয়ে দরবারও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।