প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফাইল ছবি
বুধবার সন্ধ্যাতেই হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মন্ত্রিসভার রদবদলে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৮১ জন সদস্য থাকতে পারেন। বর্তমানে ৫২ জন মন্ত্রী রয়েছেন। এর অর্থ, ২৯ জন মন্ত্রীর পদ ফাঁকা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে দু'জন থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। উত্তরাখণ্ডের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিংহ রাওয়তকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সম্ভাব্য মন্ত্রীদের অনেকেই মঙ্গলবার দুপুর থেকে দিল্লি পৌঁছতে শুরু করেছেন। বিজেপি-র ওই সূত্রের দাবি নির্দিষ্ট ‘বার্তা’ পেয়েই তাঁরা হাজির হচ্ছেন দিল্লির দরবারে। এই তালিকায় অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোয়ালও রয়েছেন। রয়েছেন সহযোগী দল জেডি (ইউ)-র দুই সাংসদ, রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিংহ এবং রামচন্দ্রপ্রসাদ সিংহ। দিল্লি পৌঁছেছেন রাজস্থান থেকে লোকসভায় নির্বাচিত দুই বিজেপি সাংসদ রাহুল কাসওয়ান (চুরু) এবং সি পি জোশীও।
সরকারি সূত্রে খবর, নতুন মন্ত্রিসভা হতে পারে ভারতের ইতিহাসে সর্বকালের কনিষ্ঠতম। নয়া মন্ত্রিসভায় নতুন প্রজন্মের অনেক নেতাই ঠাঁই পাবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এ ছাড়াও ওবিসি বা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির বেশ কয়েক জন নতুন মুখকে দেখা যেতে পারে। মন্ত্রিসভায় মহিলাদের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাছাড়াও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কয়েক জন মহিলাকে বিশেষ পদ দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সরকারি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এমন কয়েক জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে, যাঁদের পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে সমবায় আন্দোলন জোরদার করতে একটি নতুন মন্ত্রক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রকের নাম ‘সমবায় মন্ত্রক’। এই মন্ত্রকের জন্যও নতুন মুখ আসতে পারে।