বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিবর্তন ঘটাবে না। সংবিধানকে বিকৃত করবে না জাতীয় নাগরিকপঞ্জিও (এনআরসি)। দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলির মাধ্যমে এ কথা অন্য দেশগুলিকেও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি এও বলেন, ‘‘সিএএ এবং এনআরসি-র উদ্দেশ্য, অন্য দেশগুলিতে বিপদে পড়া সংখ্যালঘুদের পাশে থাকা। এই দু’টি আইনই তাঁদের স্বার্থে।’’
বিক্ষোভের জেরে বাতিল হওয়া ভারত-জাপান বৈঠকও শীঘ্রই হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। এও জানিয়েছেন, সেই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
ও দিকে, সিএএ-র প্রতিবাদে এ দিন অসমের নলবাড়ি জেলায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের কুশপুতুল পুড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এ দিনই কর্নাটকে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মদত দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর যে সব অত্যাচার হয়, তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হলে উচিত কাজ হত।’’
সিএএ কার্যকর করা হবে না বলে কেরল বিধানসভায় যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার কোনও আইনি বা সংবিধানিক বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেছেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন কোনও রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে না। তা পড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারে। তাই কোনও রাজ্য বিধানসভায় তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে তা খারিজ করা সাংবিধানিক প্রথা নয়।’’