লখনউয়ের হাসানগঞ্জে সিএএ-র প্রতিবাদে পুড়ল গাড়ি, বাইক। ছবি সৌজন্য টুইটার।
প্রতিবাদের সূচনাটা হয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসম থেকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সেই প্রতিবাদের আঁচ ধীরে ধীরে, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছয়। যত দিন যাচ্ছে প্রতিবাদ আরও জোরালো হচ্ছে। রাজ্য থেকে শহর হয়ে মফসসল এবং গ্রামগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবাদ। পথে নেমেছে ছাত্র থেকে বুদ্ধিজীবীরা। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি চরমে উঠেছে। বাস, গাড়ি পুড়েছে, ভাঙচুর এবং পুলিশের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটছে।
বৃহস্পতিবারও সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তপ্ত হল দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, চণ্ডীগড়, মুম্বই, বিহার, উত্তরপ্রদেশ। দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জ্বলে উঠল বিভিন্ন শহরগুলো। বহু নেতাকে আটকের মতো ঘটনাও ঘটল দিল্লিতে, বেঙ্গালুরুতে। উত্তরপ্রদেশে জ্বলল গাড়ি, বাস, বাইক।
দেশের কোথায় কোথায় সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ:
• লখনউয়ের মাদেগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
• লখনউয়ের হাসানগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানেও বহু গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
• লখনউয়ের হজরতগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
• প্রতিবাদের জেরে ১৯টি বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া বাতিল করেছে একটি করে বিমান। বিক্ষোভের মাঝে পড়ে বিমানকর্মীরা সময়মতো হাজিরা দিতে না পারাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
• উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে ৩৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
• আটক হওয়া বিক্ষোভকারীদের জন্য সুরজমল স্টেডিয়ামে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে দিল্লি পুলিশ।
• সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) শিক্ষকরা পথে নামেন। তাঁরা এএমইউ ক্লবা থেকে পুরানি চুঙ্গি পর্যন্ত মৌনী মিছিল করেন।
• চেন্নাইয়ে বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। কেন্দ্র সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলে আওয়াজ তোলেন তাঁরা।
সিএএ-র প্রতিবাদে রণক্ষেত্র লখনউয়ের হাসানগঞ্জ।
• উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে চারটি সরকারি বাস।
লখনউয়ে পুলিশ চৌকিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা।
• দিল্লিতে ১৮টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।
• বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। দিল্লি- গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ হওয়ার ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
• ক্যাম্পাসের ভিতর সব রকম বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করল দিল্লির এইমস।