National news

এঁরাও শিকার হয়েছিলেন শেয়ারড সাইকোটিক ডিসঅর্ডারের! 

চিকিৎসকদের কথায়, অত্যন্ত বিরল এই রোগ। তবে এর আগেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এমন রোগের সন্ধান মিলেছে। তেমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ করা হল:

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইংরাজিতে ‘শেয়ারড সাইকোটিক ডিসঅর্ডার’। ফরাসিতে ‘ফোলি আ দু’। ফরাসি কেন? কারণ ফ্রান্সের এক মানসিক রোগের চিকিৎসকই সর্বপ্রথম এমন একটা রোগের কথা সামনে আনেন। এই রোগেই নাকি আক্রান্ত হয়েছিলেন বুরারির ভাটিয়া পরিবার। তার জন্যই পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছিল অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস। এই রোগই তাঁদের গণ আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এমনই তথ্য তুলে ধরেছে পুলিশ। চিকিৎসকদের কথায়, অত্যন্ত বিরল এই রোগ। তবে এর আগেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এমন রোগের সন্ধান মিলেছে। তেমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ করা হল:

Advertisement

১৯৭৮ সাল, আমেরিকা:

বিষক্রিয়ায় একসঙ্গে ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল আমেরিকার জোনসটাউনে। তার নেপথ্যেও ছিল অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস। জিম জোনস নামে এক গুরুর কথায় শিশুদের বিষ খাইয়ে নিজেরাও বিষপান করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

২০০৮ সাল, সুইডেন:

উরশুলা এরিকসন নামে এক মহিলা আচমকাই ট্রাকের সামনে চলে আসেন। এই ঘটনার কিছু পরেই দিদি উরশুলার পথ অনুসরণ করেন তাঁর বোন সাবিনাও। দু’বোনই বেঁচে যান। পরে চিকিৎসায় জানা যায় তাঁরা দু’জনেই শেয়ারড সাইকোটিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। উরশুলাই প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হন। পরে বোনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: বুরারির মৃত্যুজট খুলতে আত্মীয়দের মনের ময়নাতদন্ত করবে পুলিশ

২০১২, অসম:

সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ভাবে একটি গুহায় চার জন বসবাস করতেন। অসমের মেরাপানিতে ২০১২ সালে তাদের সন্ধান মেলে। জানা যায়, তারা আসলে চার ভাই। বড় ভাই প্যারানয়েড বা মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আর বাকি তিন ভাইয়ের মধ্যে সেই মানসিক রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement