Lok Sabha Election 2024

খড়্গের চেয়ে গ্রহণযোগ্য মায়াবতী, দলিত নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করার দাবি তুলল বিএসপি

লোকসভা ভোটে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছে তৃণমূল এবং আপ। তাঁর পরিবর্তে মায়াবতীকে চেয়ে দাবি তুলল বিএসপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:২১
Share:

মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।

বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে আরও একটি নাম উঠে এল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পরে এ বার বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রী মায়াবতী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করার দাবি তুলল বিএসপি। যদিও ‘ইন্ডিয়া’র থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে বিএসপি। তাদের দাবি, মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করলে বিজেপিকে আটকানো যাবে। বৃহস্পতিবার বিএসপি সাংসদ মলুক নাগর বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা উচিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কয়েক জন বিধায়ককে দলে নেওয়ার জন্য মায়াবতীর কাছে কংগ্রেসের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এবং তাঁকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক। তবেই ২০২৪ সালে বিজেপিকে রোখা সম্ভব।’’

Advertisement

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মোদীর বিরুদ্ধে ওই দলিত নেতাকে সামনে রেখে লড়াই করা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। আর বিএসপির মতে, খড়্গের থেকে বড় দলিত নেতা মায়াবতী। মলুক বলেন, ‘‘কংগ্রেস যদি কোনও দলিতকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে চায় তবে মায়াবতীই সেরা। আমাদের এই শর্ত মেনে নিলে বিএসপি নেত্রী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে সদর্থক ভাবনাচিন্তা শুরু করবেন।’’ মায়াবতীকে সামনে রেখে লড়ার পিছনে ওই সাংসদের যুক্তি, অনেক রাজ্যেই বিএসপির ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। শুধু উত্তরপ্রদেশেই ১৩ শতাংশের বেশি ভোট রয়েছে। ফলে ৬০টির বেশি আসন জিততে পারে বিএসপি।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র অখিলেশ যাদবের আপত্তির কারণে ‘ইন্ডিয়া’য় মায়াবতীর দল ঢুকতে পারেনি। এমন দাবি প্রায়ই করে কংগ্রেস। যদিও মলুকের দাবি, মায়াবতীকে নিয়ে অখিলেশ কখনই আপত্তি করেননি। বরং কংগ্রেসের ভূমিকায় এসপি প্রধান অসন্তুষ্ট। মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে তারা এসপিকে আসন ছাড়েনি। যার ফলে যাদব সম্প্রদায়ের ভোট বিজেপিতে চলে যায়। পরাজিত হয় কংগ্রেস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement