পঞ্জাবে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাক ড্রোনের আনাগোনা। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে সীমান্তের কাছে আবার পাকিস্তানি ড্রোন দেখতে পেলেন বিএসএফের জওয়ানরা। তাঁরা ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়েছেন। ওই ড্রোনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য পাচার করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে গত দু’দিনে চতুর্থ ড্রোনটি গুলি করে নামানো হল।
পঞ্জাব বিএসএফের তরফে টুইট করে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, শনিবার অমৃতসরের কাছে পাকিস্তান থেকে আসা একটি ড্রোন বেআইনি ভাবে ভারতের বায়ুসীমায় প্রবেশ করে। বিএসএফ সেই ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় থাকা বাকি নিরাপত্তারক্ষীদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়।
ভারতের উপর নজরদারি করতেই কি ড্রোন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান? যে ড্রোনটিকে বিএসএফ গুলি করে নামিয়েছে, সেটিতে তল্লাশি চালানোর পর একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। ওই ব্যাগে মাদকদ্রব্য রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে বিএসএফের অনুমান। তবে বিস্তারিত তদন্তের পরেই ড্রোনের মধ্যেকার বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানা যাবে।
পঞ্জাব সীমান্তে ড্রোনের আনাগোনা গত কয়েক দিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝেমাঝেই দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন উড়ে আসছে কাঁটাতার পেরিয়ে। ড্রোনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য পাচারের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। তবে নজরদারির জন্যও ড্রোন ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার পঞ্জাব সীমান্তের কাছে পর পর তিনটি সন্দেহজনক ড্রোন গুলি করে নামানো হয়। তবে তিনটি একই জায়গায় নয়, ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে তাদের দেখা মিলেছিল। তার পর চতুর্থ ড্রোনটির দেখা মেলে শনিবার।
ওই ড্রোনগুলি থেকে ২.৬ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল। তৃতীয় ড্রোনটি অবশ্য উদ্ধার করা যায়নি। কারণ, সেটি গুলি লাগার পর পাকিস্তানের সীমান্তে গিয়ে পড়ে।