—প্রতীকী ছবি।
মণিপুরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছেই। শনিবার কাকচিংয়ে গুলির লড়াই চলাকালীন সুগনু গ্রামে সোম দত্ত নামে বিএসএফ জওয়ান জখম হন। তিনি হিমাচলের বাসিন্দা। তাঁর বাঁ কাঁধে গুলি লাগে। গত তিন দিন ধরেই সুগনুতে লড়াই চলছে। শুক্রবার রাতে পাহাড় থেকে কুকিরা মাঝারি মেশিনগান দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। মর্টার হামলাও চলছে। শেল পড়ে একাধিক বাড়ি ভেঙেছে। একটি শেল ঘরের মধ্যে ঢুকে ফাটলেও ভাগ্যক্রমে ওই ঘরে কেউ ছিলেন না। বৃহস্পতিবারেও গুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান জখম হয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি, ৩ নম্বর কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরজিৎ সিংহ শাহী, আসাম রাইফেলসের আইজি দক্ষিণ মেজর জেনারেল রভরূপ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেনারেল তিওয়ারি অশান্ত মোরেও পরিদর্শন করেন। মোরেতে টেংনাওপালের জেলাশাসক, এসপি ও বিভিন্ন কুকি সংগঠন, গোর্খা ইউনিয়ন, মণিপুর মুসলিম ইউনিয়নেরনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কুকিরা জেলা থেকে অবিলম্বে মেইতেই বাহিনী ও পুলিশ প্রত্যাহার করা ও মায়ানমার সীমান্তে অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা বন্ধ না করার দাবি তোলেন। জেনারেল তিওয়ারি বলেন, ‘‘দুই সম্প্রদায়কে একসঙ্গে বসে সমস্যা মেটাতে হবে। মোরে বিভিন্ন ভাষাভাষী, জনগোষ্ঠীর বাণিজ্য কেন্দ্র। তাই সেখানে মেইতেইদের থাকা নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়।’’
তিনি সকলকে হাত মিলিয়ে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রকে ফের সচল করার আহ্বান জানান।