দ্বিতীয় বার ইডি তলবের ঠিক আগের দিন সুপ্রিম কোর্টে কবিতা। — ফাইল ছবি।
কোনও মহিলাকে অফিসে ডেকে পাঠাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)? এই প্রশ্ন নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ১৬ মার্চ কবিতাকে আবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন জমা দিয়েছেন কবিতা তার মূল কথা হল, গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ আদায়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহ কবিতার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২৪ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে।
জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জমা দেওয়ার পর কবিতার আইনজীবী জানান, আদালতের কাছে তাঁদের মূল প্রশ্ন, ‘‘একজন মহিলাকে কি ইডি তাদের দফতরে ডেকে পাঠাতে পারে?’’ আইনজীবীর দাবি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
গত ১১ মার্চ দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৯ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখে পড়েন বিআরএস নেত্রী। তার পর ইডি তাঁকে আবার ১৬ মার্চ তলব করেছে। তার ঠিক আগের দিন, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রথমে গ্রেফতার হন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তিহাড় জেলে থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপান-উতোর প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবির এই অভিযোগ মানতে নারাজ। এরই মধ্যে কবিতাকে তলব করে ইডি। তা নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁর দল। তাঁদের প্রশ্ন, কোনও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেই তিনি দুর্নীতিমুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। বিজেপির সঙ্গে ওয়াশিং মেশিনের তুলনা করে হায়দরাবাদে শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের ছবি দিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জড়িয়ে পোস্টারও দিয়েছে বিআরএস।