বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহ। ছবি: ফেসবুক।
কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহের ভাই বিক্রম সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা এবং কাঠ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১২৬টি গাছ কেটেছেন বিক্রম। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগ, কর্নাটকের হাসান জেলায় কমপক্ষে ১২৬টি বড় বড় গাছ কেটেছেন বিক্রম। ওই গাছ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র তাঁর কাছে ছিল না। শুধু তা-ই নয়, গ্রামে বেআইনি কাঠ পাচারের অভিযোগও উঠেছে সাংসদের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিক্রমকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশের অপরাধ বিভাগের সংগঠিত ক্রাইম স্কোয়াড। পরে তাঁকে রাজ্যের বন দফতরের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের তরফেই বিক্রমের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তাদের দাবি, বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই যথেচ্ছ ভাবে গাছ কেটেছেন বিক্রম। নিকটবর্তী নন্দগোন্ডানহল্লি গ্রামে সেই সব গাছের কাঠ পাচার করেছেন। ওই গ্রামে সম্প্রতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বন বিভাগের এক আধিকারিক। তাঁর নজরে আসে গোটা বিষয়টি। তিনিই এফআইআর দায়েরের জন্য উদ্যোগী হন। অভিযোগ, যে এলাকা থেকে গাছ কাটা হয়েছে, সেটি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি।
এ প্রসঙ্গে কর্নাটকের বনমন্ত্রী ঈশ্বর খান্দ্রে বলেন, ‘‘১২৬টি বড় গাছ ওরা কেটে ফেলেছে। সব ৫০-৬০ বছরের পুরনো গাছ। এটা ঘোর অপরাধ। বন সংরক্ষণ, উদ্ভিদ সংরক্ষণ আইন ওরা ভেঙেছে।’’
প্রসঙ্গত, বিক্রমের দাদা প্রতাপ মাইসুরুর সাংসদ। গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় যে দুই বহিরাগত যুবক ঢুকে পড়েছিলেন এবং রংবোমা দিয়ে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের অনুমতিপত্র দিয়েছিলেন এই প্রতাপই। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এমনকি, লোকসভা থেকে প্রতাপের বহিষ্কার এবং সাংসদ পদ খারিজের দাবিও তোলেন বিরোধীরা। যদিও প্রতাপ সে সময়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়েছিলেন, যে সাগর শর্মা সংসদে হানা দেন, তাঁর বাবা মাইসুরুর বাসিন্দা। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ওই বাসিন্দার অনুরোধে সংসদে ঢোকার অনুমতিপত্র দিয়েছিলেন তিনি। সাগরের বাবা তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর পুত্র নতুন সংসদ ভবনটি দেখতে চান।