এখনও গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন উপত্যকা। —ফাইল চিত্র।
আংশিক ভাবে কাশ্মীরে ফের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। পোস্টপেইড নম্বরগুলিতে ফের চালু হচ্ছে টুজি ইন্টারনেট পরিষেবাও। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে পেলেও, এখনই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না কাশ্মীরিরা। আপাতত শুধুমাত্র সরকারি এবং ই-ব্যাঙ্কিংয়ের মতো জরুরি পরিবেষা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলি খোলা যাবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন পাতার বিবৃতি প্রকাশ করে পুনরায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই সঙ্গে কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৪০০ ইন্টারনেট কিয়স্কও খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বুধবার শুধুমাত্র শ্রীনগর-সহ মধ্য কাশ্মীরেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে। কুপওয়ারা, বন্দিপোরা, বারামুল্লা-সহ উত্তর কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে দু’দিন পর। তারও দু’দিন পর ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান, অনন্তনাগ-সহ দক্ষিণ কাশ্মীরে। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ব্রডব্যান্ড ও টুজি পরিষেবা চালু হলেও, এখনই ফেসবুক, টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র সরকারি ওয়েবসাইট এবং জরুরি পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত ওয়েবসাইটগুলি খুলতে পারবেন তাঁরা। খোলা যাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং হাসপাতালের ওয়েবসাইটও। বাকি সাইটগুলিরআইপি অ্যাড্রেসব্লক করে রাখা হবে।
গত ৫ অগস্ট বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকেই গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর উপত্যকা। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট পরিষেবার উপরও নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়। তা নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন উপত্যকার সংবাদপত্র ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর এগজিকিউটিভ সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। কেন্দ্রের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন তাঁরা। ১০ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, এ ভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।ইন্টারনেট-সহ উপত্যকার উপর বসানো সমস্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়েপ্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যালোচনার নির্দেশও দেয় আদালত। তার পরেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।