মধ্যপ্রদেশে বিয়ের রাতে গয়না নিয়ে চম্পট নববধূর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিয়ে হয়েছিল ধুমধাম করে। কিন্তু সেই রাতেই নেমে এল ‘আঁধার’। ১২ লক্ষ টাকার গয়নাগাটি চুরি করে বিয়ের রাতেই পালিয়ে গেলেন নববধূ। ঘুম ভাঙার পর সপরিবার বরকে ছুটতে হল থানায়।
মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের ঘটনা। অভিযোগকারী যুবকের নাম রাজদীপ রাওয়াত। গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি খুশি তিওয়ারি নামের মহিলাকে বিয়ে করেন। পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন সুকন পাক নামের এক ব্যক্তি। ঘটকের মাধ্যমেই পাত্রীর খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর বিয়ে স্থির হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের রাতেই ঘটে অঘটন।
পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, হিন্দু মতে সমস্ত রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ফুলশয্যার রাতে নিয়ম অনুযায়ী কনের হাত থেকে দুধের গ্লাস তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সেই দুধ খাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দুধেই ওষুধ মেশানো ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন যুবক। পরে ঘুম ভাঙার পর তিনি দেখেন, ঘরে কোনও গয়নাগাটি নেই। নিজের মোবাইলটিও আর খুঁজে পাননি যুবক। তাঁর অভিযোগ, সোনা এবং রুপো মিলিয়ে অন্তত ১২ লক্ষ টাকার গয়না ছিল তাঁর ঘরে। নববধূ সে সব নিয়েই পালিয়েছেন। বরের মোবাইলটিও তিনি নিয়ে গিয়েছেন।
বিয়ের রাতে ‘ডাকাতি’ হয়েছে বুঝতে পেরে পরের দিনই থানায় ছোটেন যুবক। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের আশঙ্কা, ওই মহিলা কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আরও অনেককেই এ ভাবে ঠকিয়েছেন। বড়সড় কোনও চক্রের অংশ তিনি, অনুমান অভিযোগকারী যুবকের। হারানো গয়না ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ওই মহিলার শাস্তির দাবিও জানিয়েছে যুবকের পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।