প্রতীকী ছবি।
ব্রাজ়িলের সঙ্গে ভারতের কোভিড-টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের ৩২ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের চুক্তি ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনালো। গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, তাদের তৈরি প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনকে ৪ জুন ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রাজ়িলের টিকা নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। আজ সেই ছাড়পত্রকে অস্বীকার করল ব্রাজ়িল সরকার।
সম্প্রতি ব্রাজ়িলে কোভ্যাক্সিন চুক্তি নিয়ে জালিয়াতির কথা প্রকাশ্যে আসে। তাতে নাম জড়ায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর-ও। ভারত বায়োটেকের থেকে কোভিড টিকা কেনা নিয়ে কথা চালাচ্ছিল ব্রাজ়িল। কিন্তু সবটাই উপর-উপর। ভারত বায়োটেকও তাদের টিকা বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু তাদের কাছে শেষমেশ কোনও আবেদন আসেনি। বরং টিকা কেনার নাম করে সিঙ্গাপুরের একটি ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে জালিয়াতি চলে ব্রাজ়িলে। সে খবর ফাঁস করে ব্রাজ়িলেরই এক স্বাস্থ্য আধিকারিক রিকার্ডো মিরান্ডা।
এই প্রসঙ্গে ভারত বায়োটেককে নিয়ে টানাটানি হলে, তারা দাবি করে, তারা দুর্নীতি করেনি। ৪ জুন তাদের কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রাজ়িল। তারা নিয়ম মেনেই ধাপে ধাপে কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু ব্রাজিল এখন দাবি করছে, কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্রই দেননি টিকা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন সাসপেন্ড হয়েছিল। ৪ জুন যে ৪০ লক্ষ ডোজ়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুমতির ভিত্তিতে। কোভ্যাক্সিনের গবেষণার বেশ কিছু তথ্য অসম্পূর্ণ বলে দাবি তাদের। ব্রাজ়িলের বক্তব্য, সব তথ্য না-থাকার জন্য অনুমোদন সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।