ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র— ফাইল চিত্র।
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন (সুপারসনিক) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের ফের সফল পরীক্ষা হল রবিবার। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) জানিয়েছে, আরব সাগরের ভারতীয় নৌবাহিনীর স্টেলথ ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস চেন্নাই’ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতি সম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক পাল্লা ২৯০ কিলোমিটার। কিন্তু তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা যায়। ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি এ দিন ব্রহ্মসের সফল পরীক্ষার জন্য সংস্থার বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় নৌসেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অভিনন্দন এসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের তরফেও।
ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মীত ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি পৃথক সংস্করণ রয়েছে। স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার জন্য। প্রতিটি সংস্করণেরই একাধিক বার পরীক্ষা সফল হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্রহ্মসের বিমান সংস্করণটি ব্যবহার করে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনকে চাপে রাখতে ব্রহ্মসের স্থল সংস্করণটি ভিয়েতনাম সেনাকে দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: চিনা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অমিতের ‘নজরে’ এ বার পশ্চিমবঙ্গের ভোট
চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঙ্ঘাতের প্রেক্ষিতে ব্রহ্মসের নৌ-সংস্করণের এই পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে চিনা নৌবাহিনীর বিশাল তিনটি (একটি নির্মীয়মাণ) বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের মোকাবিলায় কার্যকরী হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। গত ৩০ সেপ্টেম্বরও ওড়িশার বালেশ্বর উপকূলে ব্রহ্মসের সফল পরীক্ষা করেছিল ডিআরডিও।
৬০ হাজার টনেরও বেশি ওজনের যুদ্ধজাহাজকে সাধারণ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল দিয়ে ঘায়েল করা কঠিন। কারণ, বিশাল ওই যুদ্ধজাহাজগুলিতে অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের আঘাত সহ্য করে নেওয়ার মতো চেম্বার-সহ নানা রক্ষাকবচ থাকে। চিনের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ (এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার) তিনটিরই ওজন ৬০ হাজার টনের বেশি। তাই তাদের ধ্বংস করতে ‘এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। বছর কয়েক আগেই তাই ভারত ‘এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার কিলার’ হিসেবে ব্রহ্মসের সংস্কারের চেষ্টা শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন: রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হায়দরাবাদ-সহ তেলঙ্গানার একাংশ