প্রতীকী ছবি।
ব্যথার চোটে আর্তনাদ করেই চলেছে কিশোরী। তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই কিশোরের। চাষজমিতে কিশোরীকে ফেলে বুকে, পিঠে, পেটে ক্রমাগত লাথি মেরেই চলেছে সে। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমনই একটি ভিডিয়ো ঘিরে হইচই ঝাড়খণ্ডে। কিশোরীর পরনে স্কুলের জামাকাপড়। পিঠের ব্যাগ কাঁধ থেকে খুলে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওই কিশোরী স্কুলছাত্রী। ভিডিয়ো ঘিরে তোলাপাড় শুরু হতেই রবিবার তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ওই কিশোরী এবং কিশোর পরিচয়-সহ ভিডিয়োটি টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রতি। তা থেকে জানা যায়, ওই কিশোরী পাকুড় জেলার একটি আদিবাসী পরিবারের মেয়ে। ভিডিয়ো দেখে হেমন্ত টুইটারে পুলিশের উদ্দেশে লেখেন, ‘এই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হোক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক।’ তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিশোরীর উপর আক্রমণ করা ওই কিশোর নবম শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি দুমকা জেলায়। পাকুড়ের পুলিশ সুপার পি জনার্দন বলেন, ‘‘দুমকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা ওই কিশোর সম্পর্কে খোঁজখবর করছে।’’
দুমকার এসডিপিও নুর মুস্তফা আনসারি জানান, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।