—প্রতীকী চিত্র।
বৃহস্পতিবার স্কুলের রেজাল্ট বেরোনোর কথা ছিল। তার আগের দিনই মৃত্যু হল ছাত্রের। আবাসনের ২২ তলা থেকে নীচে পড়ে যায় সে। ঘটনাটি ‘আত্মহত্যা’ কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনাবশত ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে ওই কিশোর।
নয়ডার বিসরাখ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ হঠাৎ নীচে পড়ে যায় কিশোর। আবাসনের বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনের তিন তলায় থাকত কিশোর এবং তার পরিবার। কেন বুধবার বিকেলে সে হঠাৎ ছাদে উঠল, কী ভাবেই বা পড়ে গেল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কিশোর আত্মহত্যা করেছে। তার পরিবারের সদস্যেরা সেই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা গোটা বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন। এমনকি, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চান না বলেও জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের বয়স ১৪ বছর। স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সে। তার বাবা, মা দু’জনেই সঙ্গীত শিক্ষক। সম্প্রতি কিশোরের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের কথা ছিল। ফল জানার আগেই কিশোরের মৃত্যু হল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তাঁদের দাবি, কিশোরের উপর পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও চাপ ছিল কি না, তাঁরা জানেন না। আত্মহত্যা করার মতো অন্য কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।