হস্টেলে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য। প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠল হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মারধরের পরের দিন ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পড়া না পারার কারণে দু’দিন ধরে মার খেয়েছে ছাত্র। তবে মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।
ঘটনাটি বিহারের সহরসা জেলার। মৃত শিশুর নাম আদিত্য যাদব। সাত বছর বয়সি ওই শিশু একটি স্থানীয় বেসরকারি স্কুলে লোয়ার কেজির ছাত্র। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত সে। অভিযোগ, হস্টেলের মালিক সুজিত কুমার তাকে মারধর করেছেন। হস্টেলের ছাত্রদের একাংশে অন্য একটি অভিযোগও রয়েছে, মালিকের বাড়ির কাজ না করায় বুধবার সন্ধ্যায় আদিত্যকে কাঠের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হস্টেলের অন্য ছাত্রেরা। তারা সুজিতকে খবর দিলে তিনি অসুস্থ ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার পর ছাত্রের অভিভাবকদেরও খবর দেন।
ছাত্রটিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশু মারা গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে। ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
হস্টেলের অন্য ছাত্রদের একাংশ জানিয়েছে, পড়া না পারার কারণে পর পর দু’দিন আদিত্যকে মারধর করেছিলেন সুজিত। মারের চোটে তার সারা শরীর ফুলে গিয়েছিল। যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রের মৃত্যুর পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।