— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলে উচু ক্লাসের পড়ুয়াদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। ১১ বছরের সেই ছাত্রের মৃত্যু হল। তার বাবা আঙুল তুলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে। তাঁর দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ছেলেটির মৃত্যু হয়। ছেলেটির বাবার বয়ানের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খুনের মামলাও রুজু হয়েছে। নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন, গত ১১ জানুয়ারি স্কুল থেকে ফিরে তাঁর ছেলে জানায়, উচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তাকে মারধর করেছে। বাঁ হাঁটুতে চোট লেগেছে বলেও জানিয়েছিল সে। ছেলেটিকে সঙ্গে সঙ্গে দীপ চাঁদ বান্দু হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। তাকে কিছু ওষুধ দিয়ে অর্থোপেডিক বিভাগে পাঠানো হয়।
ছেলেটির বাবা জানিয়েছে, বিকেল ৩টে ২৮ মিনিট নাগাদ ছেলেটিকে নিয়ে তার পরিবার অর্থোপেডিক বিভাগে পৌঁছয়। তখন সেই বিভাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে তার পরিবার। ১৫ জানুয়ারি তাকে আবার এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক আরও কিছু ওষুধ দেন তাকে। ২০ জানুয়ারি ছেলেটির অবস্থার অবনতি হয়। তাকে সেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সেই ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাঁ হাঁটুতে চোটের কারণে সেপটিসেমিক শক হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের।