পনীরসেলভমেক ঘিরে বিক্ষোভ পলানীস্বামী সমর্থকদের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দুই শীর্ষনেতার সঙ্ঘাতে ভেস্তে এডিএমকের সাধারণ পরিষদের বৈঠক। ঘটনাপ্রবাহ দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন শাসকদল ফের ভাঙনের মুখে পড়তে চলেছে।
বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের শিবারু বেঙ্কটাচলাপথী প্যালেসে বৈঠকের সময় দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী এবং ও পনীরসেলভমের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পনীরসেলভমকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত গন্ডগোলের মাঝে বৈঠক ছেড়ে চলে যান পনীরসেলভম এবং তাঁর সমর্থকেরা। বৈঠকও ভেস্তে যায়। আগামী ১১ জুলাই ফের সাধারণ পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই তামিলনাড়ুতে এডিএমকে নেতৃত্বের মধ্যে সঙ্ঘাতের চোরা স্রোত চলছিল। প্রথমে শশীকলার সমর্থনে কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী পনীরকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন পলানী। এর পর শশীকলা দুর্নীতি মামলায় জেলে যাওয়ায় ক্ষমতা নিষ্কণ্টক হয় তাঁর। পনীর এবং পলানী গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে দলও ভাঙে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগের বিজেপির সক্রিয়তায় দুই গোষ্ঠী জোড়া লাগে। উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দলের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পান পনীর। মুখ্যমন্ত্রী পলানী হন সহ-সমন্বয়কারী। কিন্তু বিধানসভা ভোটে হেরে যায় এডিএমকে।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই দ্বৈত নেতৃত্বের বদলে ‘এক নেতা’র দাবিতে সক্রিয় হয়েছিলেন পলানী। দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলাও হয়েছিল। যার জেরে আদালত নির্দেশ দেয়, সাধারণ পরিষদের বৈঠকে একক নেতৃত্ব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের নির্দেশ না মেনে বৈঠকের গোড়াতেই ‘এক নেতা’র দাবি তুলে পনীয় গোষ্ঠীর উপর চড়াও হন পলানী সমর্থকেরা। পনীর শিবিরের নেতা তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আর বৈথিলিঙ্গমের অভিযোগ, তাঁদের মঞ্চের উপরেই অপমান করা হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।