অনীশের (ডান দিকে) পরিবারের সঙ্গে মালিক শাজি। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
কর্মীদের সবাইকে ডেকেছিলেন মালিক। কেন ডাকলেন তা নিয়ে কিছু না বলায় কর্মীদের মধ্যে একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সময়ে মালিকের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন কর্মীরা। তখনও তাঁরা জানতেন না কী হতে চলেছে।
মালিক এলেন। মুখে তাঁর স্মিত হাসি। মেজাজ ভাল দেখে কর্মীরাও একটু আশ্বস্ত হলেন। যাক, তা হলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে পরের ঘটনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। বাড়ির লনে কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল একটি গাড়ি। মালিক একে শাজি গাড়িটির দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন। সঙ্গে ডেকে নিলেন তাঁর সংস্থার সবচেয়ে পুরনো কর্মী সিআর অনীশকে। তখনও কেউ বুঝতে পারছিলেন না মালিক কী করতে চাইছেন।
এর পরই ঝকঝকে নতুন মার্সিডিজের উপর থেকে কালো কাপড় সরিয়ে দেন মালিক শাজি। অনীশকে পাশে দাঁড় করিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে সেই গাড়ির চাবি তাঁর হাতে তুলে দেন। একটা চরম খুশির মুহূর্ত তখন চার পাশে। এর পরই মালিকের ঘোষণা, ‘প্রিয় অনীশ, গত ২২ বছর ধরে যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে এসেছেন, যে ভাবে সংস্থার একটা স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছেন, তার জন্য একটা ছোট্ট উপহার। আশা করছি এই নতুন সঙ্গী আপনার পছন্দ হবে।’
এর পরই কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘আগামী দিনে আরও অনেক কর্মীকে এই উপহার দিতে চাই।’ এমন দামি পুরস্কার পেয়ে আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন অনীশ। তিনি বলেন, “আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতাই আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আশা করছি আগামী দিনেও এ ভাবে আমরা আরও অনেক পথ পেরোব।”