ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। —ফাইল চিত্র।
শিলচর, ৭ ডিসেম্বর: আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মনসা মন্দির সংস্কারের কাজে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-র বাধা দেওয়ার ঘটনায় অসমের শ্রীভূমি জেলায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে বিতর্কের অবসান ঘটে। বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকলেও শুক্রবার ফের শুরু হয়েছে মন্দিরের সংস্কার কার্য।
শ্রীভূমির জেলাশাসক প্রদীপকুমার দ্বিবেদী জানান, কালো পলিথিন বেঁধে মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়াতেই বিবাদ বাধে। বিজিবি-র সন্দেহ হচ্ছিল, আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন করে জ়িরো পয়েন্টের দেড়শো মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ
করা হচ্ছে।
শ্রীভূমির ওই এলাকায় দুই দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুশিয়ারা নদী। মনসা মন্দিরের ও-পারে বাংলাদেশের সিলেট জেলার এক বিজিবি ছাউনি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি-র একটি দল সেই ছাউনি থেকে বেরিয়ে হুইসল বাজিয়ে জলসীমান্ত পেরিয়ে আসে। তারা মন্দিরের কাজ বন্ধ রাখতে বলে। খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ছুটে যান। বিজিবি-র তরফে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে বিএসএফ-ও আপাতত সংস্কার কাজ বন্ধ রাখতেই বলে তাঁদের।
বিএসএফ শুক্রবার জানায়, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বিজিবি-র সন্দেহ দূর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের আর আপত্তির কিছু নেই। সে জন্যই ফের মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। বিজিবি-র জলসীমান্ত পেরোনো নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভকে অবশ্য বিএসএফ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
বিএসএফ অফিসারেরা বলেন, “জলসীমান্তটা একটু অন্য রকম। বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরাও নদীর মধ্যভাগ পেরিয়ে গিয়ে ওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।”
বহু পুরনো ওই মনসা মন্দিরের সংস্কারের জন্য সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে তিন লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ওই অর্থেই সংস্কারে হাত দিয়েছেন এলাকাবাসী।