ফাইল ছবি
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সোমবার থেকে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রথমসারির কর্মী এবং কমোর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। দেশে বর্তমানে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বড় অংশ করোনা সংক্রমিত, এই পরিস্থিতিতে কি আদৌ তাঁরা তৃতীয় টিকা নিতে পারবেন, এই প্রশ্ন উঠছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। গত বছর মে মাসে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রথম টিকা নেওয়া পর যাঁরা কোভিড পজিটিভ হয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় টিকা নিতে অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তৃতীয় টিকা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় এ ব্যাপারে কিছু বলা নেই। ফলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, তৃতীয় টিকা নেওয়ার জন্য আগে থেকে কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করালেই এই বুস্টার টিকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির কর্মীরা ছাড়া ষাটোর্ধ্ব যে সব ব্যক্তির হাইপার টেনশন, ডায়বেটিস এবং অন্য কোন অসুখ রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই টিকা নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার অন্তত ৯ মাস পর এই বুস্টার টিকা নেওয়া যাবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকার মতোই তৃতীয় টিকা এক হতে হবে। কোনও মিশ্রণ চলবে না। অর্থাৎ যাঁরা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের ওই টিকাই নিতে হবে। আবার যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদেরও তৃতীয় টিকা কোভিশিল্ডেরই নিতে হবে।
তবে অন্যান্যরা এই টিকা কবে পাবেন, তা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক কিছু জানায়নি।