দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট। বর্তমানে সরকারি হোমে রাখা হয়েছে ওই কিশোরকে। সেখান থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে ঠাকুরমার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিশোরের ঠাকুরমা তাঁর নাতির মুক্তির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কিশোরকে হোম থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। ঠাকুরমার হেফাজতেই থাকবে কিশোর। তার বাবা, মা এবং দাদু এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। যদিও সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কিশোরের বাবা।
বিচারপতি ভারতী ডাংড়ে এবং বিচারপতি মজুষা দেশপাণ্ডের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। তখন ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। অপরাধ গুরুতর হলেও জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট মোতাবেক অভিযুক্তের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এর পরই ওই কিশোরকে হোম থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, কিশোরের হেফাজতের ক্ষেত্রে ‘দ্য চাইল্ড ইন কনফ্লিক্ট উইদ ল (সিসিএল)’ মানা হয়নি। তার বয়সও ১৮ বছরের নীচে।
গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে গাড়িতে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলাটি আদালতে উঠলে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড কিশোরকে পথ নিরাপত্তা নিয়ে ৩০০ শব্দের প্রবন্ধ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কিছু কাজ করার শর্তে জামিন দেয়। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের এই নির্দেশের বিপুল সমালোচনা হয়। পুলিশ আদালতের এই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। তার পরই কিশোরকে সরকারি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।