দাউদ ইব্রাহিম। —ফাইল চিত্র।
পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমকে ব্যক্তিগত ক্ষমতার কারণে বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের (ইউএপিএ) আওতায় সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তাঁর সঙ্গে কিংবা তাঁর দলের সঙ্গে যোগ থাকা মানেই, কোনও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের মতো কড়া আইনের ধারা কার্যকর হতে পারে না। দাউদের দলের (ডি-কোম্পানি) সঙ্গে যোগের অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তিকে জামিন দেওয়ার সময় এ কথা জানিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।
২০২২ সালের অগস্ট মাসে মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফৈজ় ভিয়ান্ডিওয়ালা ও পারভেজ় বৈদ্য। তাঁদের থেকে ৬০০ গ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছিল এটিএস। তদন্তকারীদের দাবি, এই দু’জনেই দাউদের দলের সঙ্গে যুক্ত। ধৃত দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মাদক আইনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনেও মামলা রুজু করেছিল এটিএস।
গত ১১ জুলাই ওই দুই অভিযুক্তের জামিনের আর্জির শুনানি হয় বম্বে হাই কোর্টে। বিচারপতি ভারতী ডাংরে ও বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের বেঞ্চের রায়ে শুক্রবার ভিয়ান্ডিওয়ালা ও পারভেজ় বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের আওতায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাউদকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল। হাই কোর্টের রায়ে ২০১৯ সালের সেই বিজ্ঞপ্তির কথা উঠে এসেছে। আদালত জানিয়েছে, বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনে দু’টি পৃথক আঙ্গিকের উল্লেখ রয়েছে। একটি হল, একক ভাবে কোনও ব্যক্তির কাজকর্ম, যা জঙ্গি কার্যকলাপের সামিল। অন্যটি হল, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ।
সেই যুক্তিতে ধৃত দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের মামলা কার্যকর হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছে বম্বে হাই কোর্ট। কারণ, দাউদকে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষমতার জন্য সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের থেকে যে পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে, সেই পরিমাণও সামান্য বলে জানিয়েছে আদালত। এই যুক্তিতে উভয়কেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্ট।