—প্রতীকী চিত্র।
ধর্ষণের মামলা খারিজ করে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী উভয়ের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট। বিচারপতি এএস গডকরী ও বিচারপতি নীলা গোখলের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই জরিমানার অঙ্ক সশস্ত্র বাহিনীর নিহতদের পরিবার কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে অভিযোগকারী মহিলা ও অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর সঙ্গীর থেকে টাকা নিয়েছিলেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
গ্রেফতারির প্রায় ৯০ দিন পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানান। মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে, তিনি মহিলার বাড়িতে থাকা শুরু করেন। মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। মহিলার অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁর সন্তানদের মারধর করতেন। তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এমনকি বিনিয়োগ করার নামে তাঁর থেকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকাও নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত পাননি। এমন অবস্থায় গত এপ্রিল মাসে ওই ব্যক্তি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান মহিলা এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যক্তিকে। পরবর্তী সময়ে ওই ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মহিলাকে ফেরত দিতেও সম্মত হন অভিযুক্ত।
মামলায় অভিযুক্তের আইনজীবী স্বপ্নিল অম্বুরে, রবি সূর্যবংশী ও তন্ভি নন্দগাঁওকর সওয়াল করেন, সম্পর্কে থাকাকালীন যা হয়েছে, তাতে দু’পক্ষেরই সম্মতি ছিল। টাকা দেওয়ার পর যখন সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না মহিলা, তখনই তিনি মামলা দায়ের করেন। অপর পক্ষে অভিযোগকারী মহিলার আইনজীবী কর্ণী সিংহ ও সরলা শিন্ডেও হাই কোর্টে হলফনামা জমা দেন। তাঁরা জানান, বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের মক্কেলও চান মামলাটি প্রত্যাহার করতে। এই অবস্থায় মামলা খারিজ করে উভয় পক্ষকেই ২ লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার অঙ্ক জমা না পড়লে মামলাটি আবার আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।