—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছয় সন্তান রয়েছে দম্পতির। বিয়ের অনেক বছর পরে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর সম্মতি ছাড়া স্বামী তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু ধর্ষণের এই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামীর প্রতি বিদ্বেষ থেকে তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছিলেন ওই মহিলা।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের। মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী ১৯৯১ সালের ১২ মে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। তার পর তাঁদের পর পর ছ’টি সন্তান জন্ম নেয়। অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, দম্পতির মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে প্রথম থেকেই দুই তরফের সায় ছিল। পরে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। এর ফলেই স্বামীর বিরুদ্ধে ওই মহিলা অসত্য অভিযোগ এনেছেন বলে আদালতে জানান আইনজীবী।
মহিলার তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, সন্তানদের জন্মের পর স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সময়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তিনি বাধা দিলে তাঁর উপর অত্যাচারও হয়েছে। মহিলা আরও জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তার পরেও তাঁরা একই ছাদের নীচে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই সময়েও তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যেরা জানান, ওই মহিলা অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান। অন্য পুরুষের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্কের প্রমাণও আদালতে দেন অভিযুক্ত।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি পিডি নায়েক এবং এনআর বোরকরের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই ধর্ষণের অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে বিদ্বেষ। যুবককে ফাঁসানোর জন্যই এই পরিকল্পনা করেছিলেন মামলাকারী। মামলাটিতে দম্পতির সাবালক সন্তানদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। মহিলা স্বীকার করেন, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চান। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘মামলাকারী এবং অভিযুক্ত ২৩ বছর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থেকেছেন। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তাঁরা এক ছাদের তলায় থাকাকালীন ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ক্ষতিকর, তাই এটি বাতিল করা প্রয়োজন।’’ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়া আইনব্যবস্থার পক্ষে ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেছে বিচারপতিদের বেঞ্চ।