বদলাপুরের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল সাধারণ মানুষেরা। —ফাইল চিত্র।
জনতার চাপের মুখে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল যেন তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট পেশ না করে, বদলাপুরের যৌন নিগ্রহ মামলায় মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের। মামলাটি পোক্ত করার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, বদলাপুরের স্কুলে দুই খুদে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি রেবতি মোহিত দেরে ও বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চহ্বনের বে়ঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “ছেলেদের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। ছেলেদের শিক্ষা দিন এবং মেয়েদের বাঁচান।”
মঙ্গলবার সরকারের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন্দ্র শ্রফ। তিনি আদালতে জানান, খুব শীঘ্রই চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। সে কথা শুনে হাই কোর্টের ডিভিশন বে়ঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্থানীয় থানার পুলিশ তদন্ত করতে পারছিল না বলেই তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দলকে। বম্বে হাই কোর্টের মন্তব্য, “এটি একটি বৃহত্তর বিষয়। এই মামলাটি আগামী দিনে এই ধরনের মামলাগুলির জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মানুষ তাকিয়ে রয়েছে এই মামলার দিকে। তাই তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট জমা দেবেন না। এখনও সময় হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে জমা ক্ষোভের জেরে চাপের মুখে পড়বেন না। চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে ঠিক ভাবে তদন্ত হওয়া দরকার।”
প্রসঙ্গত, বদলাপুরের ওই স্কুলের শৌচালয়ে দুই ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ইতিমধ্যেই স্কুলের এক সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, “চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে দেখতে হবে, যাতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকে। সব যেন জলের মতো স্বচ্ছ হয়। অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, স্কুলে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধু ছাত্রীদের নিরাপত্তা নয়, ছাত্রদের সুরক্ষার বিষয়টিও বিবেচনা করা দরকার কমিটির।