বম্বে হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন মুম্বইয়ের ৭/১১-র হামলায় জড়িত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দি।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বইয়ের কয়েকটি লোকাল ট্রেনের কোচে পর পর সাতটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ১৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন প্রায় হাজার জন। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহম্মদ সাজিদ আনসারি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনসারি-সহ অন্যান্য অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেই থেকে জেলবন্দি আনসারি।
মুম্বইয়ের সিদ্ধার্থ ল কলেজে পরীক্ষায় বসতে চেয়ে জেলবন্দি আনসারি আদালতে আবেদন করেন। ৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। সেই মামলার শুনানিতে আদালত আনসারিকে সশরীরে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেয়। জেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
কিন্তু আনসারি ১০ মে আদালতে নতুন করে আবেদন করে বলেন, তিনি ৩ মে এবং ৯ মে পরীক্ষা দিতে যেতে পারেননি। কাগজপত্র তৈরি করতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে আনসারিকে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। সেই মামলার শুনানিতে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি মকরন্দ কার্ণিক এবং কমল খাতার ডিভিশন বেঞ্চ, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশ্ন করে, মামলাকারীকে অনলাইনে পরীক্ষায় বসানোর ব্যবস্থা করানো যায় কি না? বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তাদের কোনও আপত্তি নেই। তার পরই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট।