শ্রেয়া এবং শিলাদিত্যর সঙ্গে পরাগ। ছবি : টুইটার থেকে।
দু’টি টুইট। তা নিয়ে দুই পুরনো বন্ধুকে ঘিরে জল্পনা। প্রথমটির প্রেরক পরাগ অগরওয়াল। টুইটারের সদ্য অভিষিক্ত সর্বময় কর্তা বা সিইও পরাগ। দ্বিতীয় টুইটটিও করেছেন তিনিই। আর এই দু’টি টুইট-ই করা হয়েছে বাংলার কন্যা এবং ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের উদ্দেশে।
প্রথম টুইটটি করা হয়েছে ২০১০ সালের এপ্রিলে। শ্রেয়াকে ট্যাগ করে পরাগ লিখেছেন, পাঁচটি শব্দ। ‘নিউজিল্যান্ড। এক না (একা) নয়।’ সঙ্গে একটি ঠাট্টাসূচক জিভ কাটা ইমোজি। দ্বিতীয় টুইটটি তার ঠিক এক বছর এক মাস পর। ২০১১ সালের ৩০ মে। পরাগ লিখেছেন, ‘শ্রেয়া লম্বা গাড়ির সফরে সবসময় তোকে মনে পড়ে।’ এর পর একটি হাসির ইমোজি। পরে পরাগের সংযোজন, ‘আর কি চলছে আজকাল?’
শ্রেয়াকে ট্যাগ করে লেখা ওই দুই টুইটের কোনও জবাব অবশ্য শ্রেয়া দেননি। তবে প্রথম বার্তাটির এক মাস পরে পরাগের টুইটারের দেওয়ালে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। ২০১০ সালের মে মাসে পরাগের জন্মদিনের পরের দিন শ্রেয়া পরাগকে লিখেছেন, ‘শোন সবাই!! ছোটবেলার আর এক বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছি।’ বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রেয়া টুইটারে পরাগের ছোট্ট পরিচয়ও দিয়েছিলেন ওই টুইটে। লিখেছিলেন, ‘খাদ্যরসিক, ভ্রমণপ্রেমী... স্ট্যানফোর্ড (বিশ্ববিদ্যালয়)-এ শিক্ষিত। ওকে ফলো করুন। কাল ওর জন্মদিন ছিল। ওকে শুভেচ্ছা জানান।’
ওই দুই টুইট। ছবি: সংগৃহীত।
এমনই টুকরোটাকরা টুইট ছড়ানো ছিল দু’জনের টুইটারের দেওয়ালে। যা হয়তো আড়ালেই থেকে যেত। জনপ্রিয় গায়িকাকে পরাগ নামের কোনও যুবক কী লিখেছিলেন, তা নিয়ে এতদিন মাথা ঘামাননি কেউ। পরিস্থিতি আচমকাই বদলাল পরাগ সেই টুইটারেরই সিইও হয়ে যাওয়ায়। টুইটারে গায়িকা এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি ছিল পরাগের। সম্ভবত কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানের। সেই ছবি দেখেই তদন্ত করতে নেমে অনুরাগীরা খুঁজে পান দু’জনের পুরনো যোগসূত্র। যা কিনা শ্রেয়ার কথামতো জুড়েছিল ছোটবেলাতেই।
ভক্তরা তদন্ত করে দেখেছেন, শ্রেয়া এর আগে পরাগের টুইটের জবাব না দিলেও জন্মদিনের ওই টুইটের জবাব দিয়েছিলেন টুইটার কর্তা। পুরনো বন্ধুকে লিখেছিলেন, ‘আরে তুই তো বেশ প্রভাবশালী। তোর কথায় অনুগামী সংখ্যা চড়চড়িয়ে বাড়ছে। মেসেজের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে টুইটার।’
২০১১ সালেই টুইটারে কাজে যোগ দেন পরাগ। তারপরেও শ্রেয়ার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ থেকেছে। কখনও পরাগের ছবিতে শ্রেয়া, কখনও শ্রেয়াকে পরাগ প্রশংসাসূচক মন্তব্য উপহার দিয়েছেন। ২০১৫ সালে শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন শ্রেয়া। ২০১৬ সালে পরাগ বিয়ে করেন বিনীতাকে। তারপরও যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন। দুই পরিবারের যে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎও ছিল তার প্রমাণ রয়েছে ইনস্টাগ্রামের ছবিতে।
সোমবার, টুইটারের সিইও হিসেবে পরাগের নাম ঘোষণা করেন টুইটার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। শ্রেয়া শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি। টুইটারে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন পরাগ। তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে। আমাদের জন্য এটা একটা বড় দিন। খবরটা উদযাপন করছি।’ ব্যস্ত পরাগ অবশ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই টুইটের জবাব দেওয়ার সময় পাননি।