প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক আগেই দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। তাদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ইটভাঁটার মালিক রামস্বরূপ, রজ্জু এবং সঞ্জু নামে তিন জনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার দু’দিন পরেই দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই দুই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
এ বার ওই দুই কিশোরীর বাবার দেহ উদ্ধার হল। অভিযোগ, ধর্ষণের মামলা তোলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা। মামলা না তুললে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আর সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে কিশোরীদের বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীদের আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, সমঝোতা করার জন্যও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দুই কিশোরীর বাবাকে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। অভিযোগ, তার পর থেকেই ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে কানপুরের হামিরপুরের একটি এলাকায় দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দুই কিশোরী একটি ইটভাঁটায় কাজ করত। অভিযোগ, ইটভাঁটার মালিকের পুত্র এবং তাঁর এক আত্মীয় দুই বোনকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই-ই নয়, সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে দুই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করা হত বলেও অভিযোগ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই বোন শৌচকর্মের জন্য বাইরে বেরিয়ে ছিল। কিন্তু তার পর দিনই বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে একটি গাছে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাদের পরিবার ইটভাঁটার মালিক, তাঁর পুত্র এবং তাঁদের এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত রজ্জু এবং সঞ্জুর মোবাইল থেকে দুই কিশোরীর আপত্তিজনক ছবিও উদ্ধার করে পুলিশ।