—প্রতীকী চিত্র।
তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটের জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হল নাবালিকার দেহ। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ৫ বছরের ওই নাবালিকা গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। তিন দিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। ভোপালের পাঁচটি থানা মিলিয়ে ১০০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী নাবালিকার খোঁজ শুরু করেছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল ড্রোন। পুলিশের ডগ স্কোয়াডও নেমেছিল খোঁজে। শেষে যে আবাসনে ওই নাবালিকা থাকত, সেই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের ভিতর রান্নাঘরের ছোট জলের ট্যাঙ্ক থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। সূত্রের খবর, তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে কি না— তা-ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হবে।
নাবালিকার খোঁজে ওই আবাসনের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। এমনকি ওয়াশিং মেশিনের ভিতরেও খোঁজ চালানো হয়েছিল। শেষে বৃহস্পতিবার নাবালিকার বাড়ির উল্টোদিকেরই একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। ফ্ল্যাটটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেও কেন পুলিশ শুরুতেই ওই ফ্ল্যাটটি খোলেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসীরা।
বুধবার নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর ভোপালের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশমার শালিনি দীক্ষিত বলেন, “মঙ্গলবার থেকে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। প্রায় ১০০ জন পুলিশকর্মী তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ জানান, ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ আসছে। ফ্ল্যাটটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি মাত্র পাঁচ মাস আগেই ভাড়া দিয়েছিলেন মালিক। যদিও কী ভাবে নাবালিকার মৃত্যু, সে বিষয়ে পুলিশ এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই-তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনই এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।