গুরদাসপুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরে। ছবি: টুইটার থেকে
বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে মৃত্যু হল অন্তত ১৯ জনের। কারখানার ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৃতদের প্রতি শোকবার্তা জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গুরুদাসপুরের বাটালা এলাকা। কিছুক্ষণ পরেই বোঝা যায় বাজি কারখানাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তিন তলা কারখানা পুরোপুরি ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। বাজি কারখানাটি জনবহুল এলাকায় হওয়ায় আশপাশের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত বহু বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। একটি ছোট গাড়ি এবং একটি বাইক উড়ে এসে ছিটকে পড়েছে রাস্তার উল্টো দিকে থাকা জলাশয়ে।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হলেও কেউ ভিতরে ঢুকতে সাহস করেননি। পরে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তার পর থেকেই একে একে কারখানার শ্রমিকদের মৃতদেহ বের করে আনতে শুরু করেন তাঁরা। পরে উদ্ধারকাজে যোগ দেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও। গুরুদাসপুরের মহকুমা শাসক দীপক ভাটিয়া নিশ্চিত করেছেন, অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকে কোনও কারণে আগুন লেগেই যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তবে আপাতত পুরো বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও কেউ আটকে আছেন কিনা, সেই প্রাধান্য উদ্ধারকারীদের কাছে। সেই কাজ শেষ করার পরই শুরু হবে তদন্ত।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ইউএপিএ আইনে প্রথম জঙ্গি ঘোষণা কেন্দ্রের, তালিকায় দাউদ, হাফিজ, মাসুদ, লকভি
আরও পডু়ন: ফের বানভাসি মুম্বই, জারি চূড়ান্ত সতর্কতা, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, বিপর্যন্ত জনজীবন
মৃতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলছে। পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারের তদারকি করছেন।