National news

‘মধ্যপ্রদেশে সরকার সংখ্যালঘু’, বিশেষ অধিবেশন চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি বিজেপির

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গড়লেও, কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের ফারাক খুব বেশি ছিল না। একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতাও পায়নি কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৯ ১৬:২৩
Share:

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দিনই মধ্যপ্রদেশের সরকার গড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিল বিজেপি। কংগ্রেস সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জানিয়ে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালকে চিঠি লিখে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানাল বিজেপি।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব এএনআইকে বলেন, ‘‘অনেকগুলো বিষয় নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি আমরা। এরা (মধ্যপ্রদেশ সরকার) যেগুলোর সমাধান করতে পারছে না। আমি ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাস করি না কিন্তু আমি মনে করি এদের সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং এদের খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নিতে হবে।’’

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গড়লেও, কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের ফারাক খুব বেশি ছিল না। একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতাও পায়নি কংগ্রেস। ২৩০টি আসনের মধ্যে ১১৪টি পেয়েছিল। আর বিজেপি পেয়েছিল ১০৯টি। তাই কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর থেকে জল্পনা চলছিল, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে সরকার ফেলে দিতে পারে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মধ্যপ্রদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে এতদিন তোড়জোড় করতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতাদের। বরং ভিতরে ভিতরে তাঁরা এর জন্য লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: গ্রেফতারির আশঙ্কা, আইনি রক্ষাকবচের সময়সীমা বাড়াতে শীর্ষ আদালতে রাজীব কুমার

এরকম যে কিছু হতে পারে, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তার আভাসও পাওয়া গিয়েছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্যে। সে সময় সংবাদমাধ্যমকে কৈলাস বলেছিলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর কমলনাথের সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, ফল বেরনোর পর ২২ দিনও কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না।’’

নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর দিনই সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যস্ত হওয়ার মধ্যে আরও একটি বিষয় লুকিয়ে রয়েছে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। রবিবার লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণা। তার আগে বুথফেরত সমীক্ষা দেশজুড়ে এনডিএ-র ব্যাপক আসন পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। যা বিজেপির আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় বিধানসভায় যদি বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হয়, তবে বুথফেরত সমীক্ষার ফল সেই জয়কেও যথার্থতা দেবে বলে একাংশের ধারণা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement