বাংলায় কমেছে দুই সাংসদ। উত্তরপ্রদেশ দিল অতিরিক্ত দুই। ফাইল চিত্র
বাবুল সুপ্রিয় ও অর্জুন সিংহ। দুই সাংসদ দলবদল করায় লোকসভায় শক্তি একটু হলেও কমে গিয়েছিল বিজেপির। রবিবার উপনির্বাচনের ফলাফলে উত্তরপ্রদেশে এমন দু’টি আসন বিজেপি জিতেছে যেগুলি গত লোকসভা নির্বাচনে ছিল সমাজবাদী পার্টির (এসপি) দখলে। আজমগড় ও রামপুর লোকসভা আসনের দখল নিল বিজেপি। এর ফলে বাংলার দুই সাংসদ চলে যাওয়ায় কমে যাওয়া সাংসদ সংখ্যা ফিরিয়ে দিল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যে ৮০ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ৬২ আসন। সেটা বেড়ে ৬৪টি হল। অন্য দিকে সমাজবাদী পার্টি পাঁচ থেকে তিনে নেমে গেল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল বিজেপি। ৩০৩ জন সাংসদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দ্বিতীয় বার বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সম্প্রতি সেই সংখ্যা কমে ৩০১ হয়ে যায়। আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। তিনি যেমন পরে বালিগঞ্জের বিধায়ক হয়েছেন তেমনই তাঁর ছেড়ে আসা আসানসোল থেকে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিন্হা। আবার ব্যারাকপুরের অর্জুন এখনও খাতায়-কলমে বিজেপি সাংসদ থাকলেও তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। সেই ক্ষতই পূরণ হয়ে গেল রবিবার। অর্জুনকে এখনও বিজেপি সাংসদ ধরলে লোকসভায় বিজেপির শক্তি হয়ে গেল ৩০৪। দেশে মোট সাংসদ সংখ্যার ক্ষতপূরণ হলেও বাংলায় বিজেপি যে ধাক্কা খেয়েছে তা অবশ্য এখনও সামলাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
উত্তরপ্রদেশে আজমগড় ও রামপুর জয় বিজেপির কাছে অন্য কারণেও উল্লেখযোগ্য। আজমগড় থেকে সাংসদ হয়েছিলেন এসপির জাতীয় সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ২০০৯ সালে বিজেপির রমাকান্ত যাদব জিতলেও তা ছিনিয়ে নেন অখিলেশ। অতীতে অখিলেশের বাবা মুলায়ম সিংহ যাদবও এই আসন থেকে জিতেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর সাংসদ পদ ছেড়ছিলেন অখিলেশ। কারহল আসন থেকে জিতে হন বিরোধী দলনেতা। আর তাতেই আজমগড়ে হয় উপনির্বাচন। বিজেপির টিকিটে জিতলেন তারকাপ্রার্থী নায়ক দীনেশলাল যাদব। ভোজপুরী ছবিতে যিনি ‘নিরহুয়া’ নামেই পরিচিত।
অন্য দিকে, রামগড় আসনের উপনির্বাচনও বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের ছিল। ১৯৯১, ১৯৯৮ এবং ২০১৪ সালে এই আসনে বিজেপি জিতলেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন সপার আজম খান। ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে রামপুর আসন থেকেই বিধায়ক হন তিনি। আর তাতেই খালি হয় লোকসভা আসনটি। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারল না সপা। ৪২ হাজারের বেশি ভোটে জিতলে বিজেপির ঘনশ্যাম সিংহ লোধি।