ছবি: এএফপি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের সঙ্গে সে রাজ্যে জমি কেনার উপরে বাধানিষেধও উঠেছে। কিন্তু সেখানে জমি কেনার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলল বিজেপিরই জম্মু-কাশ্মীর শাখা। হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের আদলে জম্মু-কাশ্মীরে জমি আইন তৈরির দাবি জানিয়েছে তারা।
সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে কেবল স্থায়ী বাসিন্দারাই জমি কিনতে পারতেন। বিশেষ মর্যাদা লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩৫এ অনুচ্ছেদও রদ হয়েছে। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়নার দাবি, ‘‘বিশেষ মর্যাদা লোপ পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা বলে বাইরের যে কেউ এ রাজ্যে জমি কিনতে পারবেন এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এ রাজ্যে নির্দিষ্ট সময় ধরে বাস করছেন এমন ব্যক্তিকেই জমি কেনা বা চাকরির সুযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’
হিমাচলে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ কৃষিজমি কিনতে পারেন না। উত্তরাখণ্ডে বাইরের কেউ সর্বোচ্চ ২৫০ বর্গমিটার কৃষিজমি কিনতে পারেন। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও জমি কেনার ক্ষেত্রে এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির নেতা নরেন্দ্র গুপ্তের কথায়, ‘‘এই রাজ্যেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বকরওয়াল, বাল্মীকি, গুর্জর জনজাতির অধিকার রক্ষা করা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কোনও কোনও শিবির থেকে অকারণে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। আগে জমির মালিকানা ছিল কিছু প্রভাবশালীর হাতে। এখন সাধারণ স্থানীয় বাসিন্দারাও জমি কেনার সুযোগ পাবেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের মাত্র ৫-৬ শতাংশ মানুষ সরকারি চাকরি করেন। রাজ্যে লগ্নির মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।’’