ফাইল চিত্র।
পিডিপি, এনসি, কংগ্রেস সরে দাঁড়িয়েছে। ফলে কাশ্মীরে আসন্ন ব্লক উন্নয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি লড়াই হবে বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীদের।
উপত্যকায় ১০টি জেলায় ব্লক স্তরের ভোটে ৪৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন। পঞ্চ এবং সরপঞ্চেরা ব্লক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারপার্সন পদের জন্য ভোটে লড়তে পারেন। ছ’টি ব্লকে পঞ্চায়েত ভোট হয়নি। তাই সেখানে ব্লক স্তরের নির্বাচনও করা যাবে না।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্তত ১০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী নেই। বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে উপত্যকায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, এই যুক্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি পিডিপি, এনসি, কংগ্রেস। বিজেপির অবশ্য দাবি, ‘ক্ষমতালোভী’রা উপত্যকার মানুষকে দমন করে রেখেছিলেন। নতুন শক্তির উত্থানে তাঁরা ভয় পেয়েছেন। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ব্লক উন্নয়ন পরিষদের পরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদ স্তরের ভোট হবে। এ ভাবেই শুরু হবে নবগঠিত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার যাত্রা।
এরই মধ্যে আজ উপত্যকার তিন রাজনীতিককে মুক্তি দিয়েছে প্রশাসন। পিডিপি-র প্রাক্তন বিধায়ক ইয়াওয়ার মির, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা শোয়েব লোন এবং এনসি কর্মী নুর মহম্মদকে ভিন্ন ভিন্ন কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তির আগে মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে হয়েছে জঙ্গি উপদ্রুত বাটামালু জেলার সক্রিয় এনসি কর্মী নুর মহম্মদকে। আগে শারীরিক কারণে ইমরান আনসারি ও সৈয়দ আখুন নামে দুই স্থানীয় নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ শীর্ষ নেতাদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে মুখ খোলেনি রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের প্রশাসন বা কেন্দ্র।