jawaharlal nehru

Partition: দেশভাগের ভিডিয়ো প্রকাশ করে নেহরুকে নিশানা বিজেপির! কটাক্ষ কংগ্রেসের

দেশে ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি করতে ১৪ অগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসাবে গত বছর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২২ ১৮:০৫
Share:

দেশভাগ নিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ বিজেপির

স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশভাগ নিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করল বিজেপি। সংরক্ষিত ফুটেজ দিয়ে তৈরি সাত মিনিটের ওই দীর্ঘ ভিডিয়োয় দেশভাগের ঘটনাক্রম তুলে ধরে হয়েছে। এই ভিডিয়ো প্রকাশের পর অনেকের অভিযোগ, মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের দেশভাগের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কার্যত জওহরলাল নেহরুকে নিশানা করা হল। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন এমন ভিডিয়ো প্রকাশ করার জন্য বিজেপিকে বিঁধতে শুরু করেছে কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভা সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসল উদ্দেশ্য বেরিয়ে এল।

Advertisement

দেশভাগের ‘ভয়াবহতা’, হানাহানি থেকে দেশকে মুক্ত করতে এবং দেশে ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি করতে ১৪ অগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসাবে গত বছর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর এই বছর দেশভাগের ভিডিয়ো প্রকাশ করল বিজেপি। টুইটারে জয়রাম লেখেন, ‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে দেশভাগের ভয়াবহ ইতিহাসকে তুলে আনা হচ্ছে। আধুনিক কালের সাভারকর এবং জিন্নারা আজও দেশভাগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

বিজেপির প্রকাশ করা ভিডিয়োয় তুলে ধরা হয়েছে সিরিল জন র‌্যাডক্লিফকে, যিনি বাংলা ও পঞ্জাবের মানচিত্র দু’ভাগে ভাগ করেছিলেন। টুইটারে ওই ভিডিয়ো-পোস্টের বিবরণীতে লেখা হয়েছে, ‘ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সভ্যতা, আদর্শ সম্পর্কে যাঁদের কোনও জ্ঞান নেই, তাঁরা তিন সপ্তাহের মধ্যে মানুষের মধ্যে সীমান্তরেখা টেনে দিলেন। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে ছিল, তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন?’

Advertisement

পাল্টা টুইটে জয়রাম লেখেন, ‘ঘৃণা উস্কে দিতে দেশভাগের ভয়াবহতাকে ব্যবহার করা ঠিক হবে না। সত্যিটা হল, দুই রাষ্ট্রের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন সাভারকর এবং তা বাস্তবায়িত করেছিলেন জিন্না। সর্দার পটেল লিখেছেন, আমার মনে হয়েছিল, আমরা যদি দেশভাগকে মেনে না নিই, তা হলে ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ পরের টুইটে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কি আজ জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং যিনি দেশ বিভাজনের সময় স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন?’ শেষ টুইটে জয়রাম লেখেন, ‘আধুনিক কালের সাভারকার এবং জিন্নারা দেশকে ভাগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গাঁধী, নেহেরু, পটেলরা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করবে কংগ্রেস। বিদ্বেষের রাজনীতি পরাজিত হবে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement