শিল্পপতি জর্জ সোরস এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে লগ্নি-গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট নিয়ে এ বার সরব হলেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরস। তিনি বলেন, ‘‘আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতির (স্টক ম্যানিপুলেশন) অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ভারতের সংসদে জবাবদিহি করতে হবে।’’
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির গোষ্ঠী কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে, অভিযোগ তুলেছে আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বৃহস্পতিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ৯২ বছরের সোরস প্রশ্ন তোলেন, কেন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মোদী এখনও নীরব? তাঁর মতে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়।
সোরসের মন্তব্যের পরেই পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অভিযোগ, আদানি কাণ্ড নিয়ে মোদীর উত্তর চেয়ে ‘ভারত বিরোধী কাজ’ করেছেন আমেরিকার প্রবীণ শিল্পপতি। বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেক ভারতীয়কে জর্জ সোরোসকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’’ সোরসের মন্তব্যে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্তের’ চিহ্নও খুঁজে পেয়েছেন স্মৃতি। যদিও আদানি কাণ্ডের তদন্তে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় তদন্ত কমিটি গড়ার দাবি সম্পর্কে মোদী সরকার কেন নিশ্চুপ, তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে মোদী সরকার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরেও তার বিরোধিতা করেছিলেন সোরস। ২০২০-র জানুয়ারিতে দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদীর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর তাগিদ ভারতের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’’ সে সময়ও সোরসকে নিশানা করেছিল বিজেপি।