প্রদীপ জ্বালিয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সূচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশে প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে আরও একটি সেনা অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল বিজেপি।
আজ দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু যে কোনও হুমকির মোকাবিলায় ‘উপযুক্ত’ এবং ‘আউট অব দ্য বক্স’ জবাব দেওয়ার অধিকার আছে দেশের। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও একই সুরে তোপ দাগেন পাকিস্তানকে। রাজনৈতিক প্রস্তাবে অবশ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতীয় সেনার ‘জীবনদান’কে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ যাবৎ জানিয়ে এসেছে, সেনা অভিযানে কোনও ভারতীয় সেনা শহিদ হননি। বিজেপির পক্ষ থেকে এটি ‘সামান্য বিভ্রান্তি’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দলের নেতারা কিন্তু ফের সেনা অভিযান ও নোট বাতিলের ‘সাফল্য’ তুলে ধরে ভোটযুদ্ধে নামতে চাইছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দাবি, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম শত্রুর ঘরে ঢুকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনা। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ‘দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি’ আর সেনার বীরত্বের জন্য। হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, ‘‘কেউ সীমা পেরোলে তাকে রেয়াত করা হবে না।’’
প্রশ্ন, সেনা ফের অভিযান করবে কি না, সেটা রাজনৈতিক দলের পক্ষে কী ভাবে আগাম বলে দেওয়া সম্ভব? বিজেপির যুক্তি, আগাম কিছু বলা হচ্ছে না। দল শুধু মানুষের আবেগের কথা ভেবে তার মনোভাব জানিয়েছে। কবে কী পরিস্থিতিতে ফের অভিযান চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকারই।