রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধী আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদানির সম্পর্কের রসায়ন ঠিক কী তা জানতে চেয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছেন। পাল্টা চালে ‘কংগ্রেস মানেই কোরাপশন’, এই মর্মে কর্নাটক ভোটের আগে প্রচারে নামল নরেন্দ্র মোদীর দল। আজ বিজেপির পক্ষ থেকে ‘কংগ্রেস ফাইলস’ নামে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস তথা ইউপিএ জমানায় ৪৮,২০,৬৯,০০,০০,০০০ টাকা জনতার কাছ থেকে লুট করা হয়েছে। যে লুটের মূল চক্রী হিসেবে মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গান্ধীর দিকে পরোক্ষে আঙুল তুলেছে বিজেপি। দলের ওই ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, এটি কেবলমাত্র নমুনা। দুর্নীতির গোটা সিনেমা এখনও বাকি রয়েছে।
অন্য দিকে আজ ফের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সামাজিক মাধ্যমে একটি এক মিনিটের ভিডিয়োতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন। লোকসভায় আদানি সংস্থার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। আজ ফের সেই অস্বস্তি খুঁচিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীজি, প্রশ্ন করার পরে বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। আপনার কোনও জবাব আসেনি তাই ফের প্রশ্ন করছি। কুড়ি হাজার কোটি টাকা কার? এলআইসি, এসবিআই, ইপিএফও-তে জমানো দেশের মানুষের অর্থ কেন আদানিকে দেওয়া হচ্ছে?’
পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপিও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী ১৪টি দলের জোট। যাদের মূল অভিযোগ, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেই সেই দলের মুখ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ব্যবহার করছে সরকার। পাল্টা প্রচারে নেমে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, বিরোধী দলগুলি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত বাঁচাও’ অভিযানে নেমেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দলগুলি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে একে অপরের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। মোদীর কথার সূত্র ধরেই বিজেপি ভিডিয়োর প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে। জানিয়েছে, আরও ভিডিয়ো দ্রুত সামনে আসবে।
আগামী মাসেই কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বহু অভিযোগ রয়েছে। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, সেই ভোটকে মাথায় রেখেও আজ আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তিন মিনিটের ওই ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস মানেই ‘কোরাপশন’। বিজেপির অভিযোগ, আকাশ থেকে জমি, এমন কিছু বাদ ছিল না যেখানে সরকারি বরাতকে ঘিরে সেই জমানায় দুর্নীতি হয়নি। বলা হয়েছে মনমোহন জমানায় ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনার জন্য ৩৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ ওঠে। কয়লা কেলেঙ্কারিতে ১.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা, ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার টুজি কেলেঙ্কারি, ৭০ হাজার কোটি টাকার কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি, একশো দিনের কাজে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিময় হয়েছিল।