প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন দলের বিক্ষুব্ধদের কাছে টেনে ত্রিপুরায় বড় হতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে বিক্ষোভ দেখা দিল সেই বিজেপি-তেই!
ত্রিপুরা বিজেপি-র অন্যতম সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক জানিয়ে দিয়েছেন, সোনামুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হলেও তিনি সেখানে লড়বেন না। ক্ষোভ প্রশমনের জন্য ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তথা অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁকে সঙ্গে করে গুয়াহাটি নিয়ে গিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। চাপে পড়ে এখন সুবলবাবুর কেন্দ্র বদল করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনা ভেবে দেখতে হচ্ছে বিজেপি-কে। আর এক সহ-সভাপতি রামপ্রসাদ পালও তালিকায় তাঁর নাম না দেখে বেঁকে বসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত রবিবার দ্বিতীয় দফার তালিকা ঘোষণা করে সূর্যমণিনগর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
কংগ্রেসের হয়ে লড়ে ২০০৮ সালে সোনামুড়া থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন সুবলবাবু। পরের বার তিনি হেরে যান সিপিএমের কাছে। তার পরে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে প্রথমে ত্রিপুরা গ্রামীণ কংগ্রেস নামে পৃথক দল এবং আরও পরে তৃণমূল ঘুরে এখন তিনি গিয়েছেন বিজেপি-তে! তিনি যে এলাকার বাসিন্দা, সেই বনমালীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবকে। তিনি এ দিন সকাল থেকে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের হাতে থাকা ওই আসনের বদলে রাজ্য সভাপতিকে আরও ‘ভাল’ আসন কেন দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিজেপি-র একাংশে। এমতাবস্থায় সুবলবাবু বলেছেন, “আমি ওই কেন্দ্রের (সোনামুড়া) জন্য আবেদনও করিনি। এটা বোধহয় ভুল হয়েছে দলের! আমি প্রকাশ্যেই বলছি, আমি ওই কেন্দ্রে দাঁড়াব না!’’
প্রথমে ক্ষুব্ধে হলেও পরে অবশ্য দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথাই বলেছেন বিজেপি-র আর এক রাজ্য সহ-সভাপতি রামপ্রসাদবাবু। রাতে তিনি বলেন, ‘‘দল সূর্যমণিনগরে আমাকে প্রার্থী করেছে। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।’’ প্রথম দফায় ৪৪ জনের পরে এ দিন আরও ৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। আইপিএফটি-কে ৯টি আসন ছেড়ে তাদের লড়ার কথা ৫১ আসনে। একাধিক দাবিদারের মধ্যে ফয়সালা করেত না পারায় একটি আসনে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ জানুয়ারি।
রাজ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত এক নেতা এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি-র কাছে মানুষের প্রত্যাশা বিস্তর। সব প্রত্যাশা মেটাতে একটু সমস্যা তো হবেই!’’