—প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনাকে জাতীয় স্তরে নিয়ে গেল বিজেপি। জবাবে বিজেপিকে পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
পঞ্চায়েত ভোটে খুন, হিংসা নিয়ে শনিবার মুখ খুলেছেন একাধিক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ টুইটে দাবি করেছেন, ‘‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিরোধী ঐক্যের জন্য সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পটনায় বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন। অতএব, বাংলার এই হিংসা, মৃত্যু, রক্তের দায় প্রতিটি বিরোধী নেতাকে নিতে হবে।’’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও এই হিংসার ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে তৃণমূলের গুন্ডারা সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার সুযোগকে সঙ্কুচিত করেছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি ‘সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন’ কী ভাবে করা যায়, তা দেখার জন্য মমতাকে ত্রিপুরায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিজেপির এই সমালোচনার মুখে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘‘বিজেপি গুজরাত হিংসায় নিজেদের মুখ দেখুক! উত্তরপ্রদেশে কৃষক-হত্যার ঘটনা মনে করুক।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যে আবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। এ সব কথা বাংলার মানুষ জানেন। তৃণমূলের কর্মীরা প্রাণ দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষা করেছেন।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, বাংলায় দলের কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়, রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ একাধিক প্রথম সারির বিজেপি নেতাও বাংলার পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন।