—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যসভা নির্বাচনে হিসাবের বাইরে এক জন প্রার্থী দিয়ে লড়াই জমিয়ে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশে এ দফায় রাজ্যসভার ১০টি আসনে নির্বাচন। সংখ্যার হিসাবে ৭টি আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) শিবিরের ৩ প্রার্থীর জয় গত সপ্তাহ পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় লোক দলের এনডিএ-তে যোগদান ও ২ এসপি বিধায়কের প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণার পরে চিত্র পাল্টেছে। বিজেপি প্রথমে ৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিরোধী শিবিরের হালচাল দেখে অষ্টম প্রার্থী হিসাবে সঞ্জয় শেঠের নাম ঘোষণা করেছে তারা।
বতর্মানে ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ৪টি আসন খালি। ভোট দেবেন ৩৯৯ জন বিধায়ক। রাজ্যসভায় এক জন প্রার্থীকে জিততে পেতে হবে ৩৭টি ভোট। ৮ প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির প্রয়োজন ২৯৬টি ভোট। তাঁদের পক্ষে রয়েছে ২৮৬টি ভোট (বিজেপি: ২৫২, আপনা দল: ১৩, নিষাদ দল: ৬, এসবিএসপি: ৬, আরএলডি: ৯)। সব মিলিয়ে ১০টি ভোট কম রয়েছে বিজেপির। এ ছাড়া বাহুবলী রাজা ভাইয়ার দলের দুই বিধায়কের সমর্থন পাওয়া নিশ্চিত তাদের। এসপি-র দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে অষ্টম প্রার্থীকে জেতাতে ছ’টি ভোট কম রয়েছে বিজেপির।
নিজেদের তিন প্রার্থীকে জেতাতে এসপি-র প্রয়োজন ১১১টি ভোট। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। পক্ষে কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ও নির্দলের দু’জন প্রার্থী। ফলে ৩ প্রার্থীর জেতা নিশ্চিত ছিল এসপি-র। কিন্তু দলের দুই বিধায়ক বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নির্দলের মধ্যে এক জন এসপি-কে ভোট দেবেন-না বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া দলের দুই বিধায়ক বর্তমানে জেলে। তাঁরাও ভোটের দিন ছাড়া পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে তাদের প্রায় ৫-৬টি ভোটের ঘাটতি রয়েছে। দু’দলের ঘাটতির অঙ্ক সমান। তাই যাঁরাই অন্যকে ভাঙতে পারবেন, তাঁদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত।