কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: পিটিআই
কর্নাটকে লক্ষ্যপূরণ বিজেপির। এ বার কন্নড়ভূমে সরকার গড়ার পালা। দলীয় সূত্রে খবর, বুধবারই রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারে গেরুয়া শিবির। চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, ‘বিদ্রোহী’ ১৫ বিধায়কের (কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক ও জেডিএসের ৩ বিধায়ক) ভবিষ্যৎ এখনও সুতোয় ঝুলে রয়েছে। তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার কেআর রমেশ।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই আস্থাভোট নিয়ে টানাপড়েন চলছিল কর্নাটকে। কিন্তু, জল কোন দিকে গড়াচ্ছে তা আন্দাজ করেই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিল বিজেপি। মঙ্গলবার আস্থাভোটের পর ১৪ মাসের কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটতেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জয়। এ বার রাজ্যে উন্নয়নের নতুন যুগ শুরু হবে। মানুষ এই সরকার নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।”
কর্নাটকে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। আজই রাজ্যপাল বাজুবাই বালার কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর প্রথম দফার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হতে পারে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের কয়েক জনের। কিন্তু, সে পথেও বাধা রয়েছে। দলত্যাগ আইনে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আগেই আবেদন করেছিল কুমারস্বামী সরকার। কুমারস্বামী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর। নির্দল বিধায়ক আর শঙ্করের বিরুদ্ধেও দলত্যাগ আইন প্রয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে। ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে, তাঁদের পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তারপরই, তাঁরা মন্ত্রী হতে পারবেন। বিজেপি নেতা এন রবিকুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা আবার জিতে বিধানসভায় আসবেন।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে আইনি পথও বেছে নেওয়া হতে পারে, যাতে তাঁদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়।
আরও পড়ুন: জোটের পরাজয়, আস্থা ভোটে হারলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, পদ্মাসনে কর্নাটক
আরও পড়ুন: জিতল লোভ, হারল গণতন্ত্র, সততা, কর্নাটক নিয়ে বললেন রাহুল