রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নাম জুড়ে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেছেন বলে দাবি বিজেপির। তাই রাহুলের সাংসদ পদ বাতিলের দাবিতে বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ (স্বাধিকার ভঙ্গ) কমিটির কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। আজ ওই কমিটির বৈঠকে নিজের দাবির পক্ষে প্রমাণ জমা দেন দুবে। অন্য দিকে তাঁর নামে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের জবাব তিনি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
আজ ওই মামলায় অভিযোগকারী দুবের বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য তাঁকে ডেকেছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান সুনীলকুমার সিংহ। সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক নথি দেখিয়ে দুবে দাবি করেন রাহুল আদানি ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুৎসা করেছিলেন। বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, কল্যাণ পাল্টা যুক্তিতে জানতে চান দুবে যে নথির ভিত্তিতে রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন সেই নথি আদৌ বৈধ কি না! কারণ রাহুলের সে দিনের বক্তব্যে যে বিতর্কিত অংশ ছিল তা পরে স্পিকার সভার বিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন। যদি বিবৃতি থেকে বিতর্কিত অংশ বাদই চলে যায়, তাহলে কীসের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভার সাংসদ নিশিকান্ত ওই অভিযোগ আনলেন তা জানতে চান কল্যাণ।
সূত্রের দাবি, আজ নিশিকান্ত দাবি করেন সে দিন লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেছেন রাহুল। পাল্টা যুক্তিতে কল্যাণ জানতে চান, সে দিন যদি রাহুল নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক, অশালীন মন্তব্য করেন তাহলে কেন স্পিকার তাঁকে প্রায় পঞ্চাশ মিনিট বলার অনুমতি দিলেন। নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে দুবে বলেন, ধারাবাহিক ভাবে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে থাকেন কংগ্রেসের ওই শীর্ষ নেতা।