Anantkumar Hegde

‘মহাত্মা গাঁধীর স্বাধীনতা সংগ্রাম নাটক’, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমারের

শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গাঁধীর ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিতর্ক বাধিয়ে বসেন অনন্তকুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৮
Share:

মহাত্মা গাঁধীকে নিশানা অনন্তকুমার হেগড়ের।—ফাইল চিত্র

ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের। এ বার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে কর্নাটকের ওই বিজেপি নেতা নিশানা করেছেন মহাত্মা গাঁধীকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তত্ত্ব, মহাত্মা গাঁধীর স্বাধীনতা সংগ্রাম আসলে ‘নাটক’।

Advertisement

শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গাঁধীর ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিতর্ক বাধিয়ে বসেন অনন্তকুমার। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, এ দিন অনন্তকুমার বলেন, ‘‘ব্রিটিশ শাসকের অনুমতি এবং সমর্থনে স্বাধীনতা সংগ্রামের নামে নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’’ এখানেই থামেননি অনন্তকুমার। আরও বলেন,‘‘এই তথাকথিত নেতাদের এক বারও মারধর করেনি পুলিশ। তাঁদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আসলে একটি বড়সড় নাটক। এটা আসল স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল না। এটা লোক দেখানো স্বাধীনতার লড়াই ছিল।’’

মহাত্মা গাঁধীর অনশন আন্দোলন এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনকেও ‘নাটক’ বলে দাগিয়েছেন অনন্তকুমার। তাঁর মতে, ‘‘মানুষ কংগ্রেসকে সমর্থন করে এবং বলে, ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে তার কারণ আমরণ অনশন এবং সত্যাগ্রহ। কিন্তু, তা ঠিক নয়। ব্রিটিশরা সত্যাগ্রহের ভয়ে এ দেশ ছেড়ে যায়নি। ব্রিটিশরা হতাশ হয়েই আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিল’’ এর পরেই দর্শকদের নিজের ‘উপলব্ধি’র কথা শোনান তিনি। বলেন, ‘‘আমার রক্ত ফুটতে শুরু করে যখন আমি ইতিহাস পড়ি। এমন মানুষকে আমাদের দেশে মহাত্মা বলা হয়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সনিয়া গাঁধী

অনন্তকুমারের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্ক খড়্গের মতে, ‘‘তিনি (অনন্তকুমার হেগড়ে) আর মন্ত্রী নেই। তাঁর আর প্রচারও নেই। তাই তিনি এখন এমন উল্টোপাল্টা কথা বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন জয় করার চেষ্টা করছেন।’’ অনন্তকুমারকে নিশানা করে কর্নাটকের কংগ্রেস মুখপাত্র ভিএস আগরাপ্পা বলছেন, ওঁকে ‘মানসিক হাসপাতালে’ পাঠানো উচিত। দক্ষিণের এই বিজেপি সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ময়দানে নেমেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারাও। টুইটে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী কোনও রকম ইতস্তত বোধ না করেই আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য মহাত্মা গাঁধীকে স্মরণ করেন। তিনি হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে কী বলেন তার অপেক্ষায় রয়েছি।’

মহাত্মা গাঁধীকে নিয়ে এর আগে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাও। সে সময় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, গাঁধীজি এবং গডসের সম্বন্ধে তিনি(সাধ্বী প্রজ্ঞা) যা মন্তব্য করেছেন তা একদমই ভুল ও পাপ৷ এ জন্য তিনি তাঁকে কোনওদিন মন থেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। শনিবার, অনন্তকুমারের মন্তব্যের পর বিতর্কের বলটা সেই নরেন্দ্র মোদীর কোর্টেই ঠেলে দিয়েছে কংগ্রেস। যদিও কর্নাটক বিজেপি অবশ্য হেগড়ের এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে।

আরও পড়ুন: শাহিন বাগ বিতর্ক তুঙ্গে তুলছে বিজেপি, কেজরীবাল কি শাঁখের করাতে?

অনন্তকুমার হেগড়ের এমন বিতর্কিত মন্তব্য অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে, রাহুল গাঁধীকে ‘কংগ্রেস ল্যাবরেটরির হাইব্রিড নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রথম মোদী সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী। সে সময় বলেন, রাহুল গাঁধী নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে দাবি করেন, অথচ তাঁর বাবা মুসলিম ও মা এক জন খ্রিস্টান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement